নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে অরিয়েন্টেশন বর্জন ঢামেক শিক্ষার্থীদের

নিরাপদ ক্যাম্পাস ও আবাসনের দাবিতে অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম বর্জনের জেরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) কে-৮২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ কলেজ কর্তৃপক্ষের দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) কলেজ অধ্যক্ষের দফতর থেকে এই সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, গত ১৭ জুন অনুষ্ঠিত এমবিবিএস কে-৮২ ব্যাচের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অনুপস্থিত থাকা অনভিপ্রেত এবং একাডেমিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। ফলে গতকাল (৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়—শিক্ষার্থীদের নীতিগত অবস্থান জানতে চাওয়া হবে এবং তারা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে আগ্রহী কি না, তা লিখিতভাবে জানাতে হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা কলেজ প্রশাসনের দেয়া এই নোটিস প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। তাঁদের বক্তব্য—এ ধরনের নোটিস শিক্ষার্থীদের উপর অনভিপ্রেত চাপ সৃষ্টি করছে এবং আন্দোলনের যৌক্তিকতাকে খাটো করে দেখাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানান, যদি নোটিস প্রত্যাহার না করা হয়, তবে তারা প্রশাসনের সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরাসরি সাক্ষাৎ করে ব্যাখ্যা দাবি করবেন। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী-প্রশাসন দ্বন্দ্বের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

প্রসঙ্গত, ২৮ মে নিরাপদ ক্যাম্পাস ও আবাসনের দাবিতে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে ঢামেক শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ৬ জুন থেকে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। এরপর পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে ২১ জুন একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে আগামী ১২ জুলাই থেকে আবারও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে এবং এর একদিন আগে, ১১ জুলাই, আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এখন দেখার বিষয়—এই নির্দেশনার জবাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি পরিস্থিতিকে কোন দিকে নিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *