
সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধার আশ্বাস পাওয়ার পর আপাতত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়িত না হলে পুনরায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন।
জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৮ সালে দীর্ঘ আন্দোলনের পর তৎকালীন সরকার ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি এবং ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা কার্যকর করেছিল। তখন প্রতিশ্রুতি ছিল পরবর্তী মেয়াদে শিক্ষা জাতীয়করণের, কিন্তু তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত থাকে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বৈষম্য দূর করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলতে থাকে। ২২তম দিনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি, পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা আসে।
তবে বাজেটে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তারা। সরকার নতুন করে আশ্বাস দেওয়ায় আপাতত কর্মসূচি স্থগিত হয়েছে, কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আবারও রাস্তায় নামবেন বলে দৃঢ় অবস্থান জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।