
১৫ অক্টোবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস আজ। ১৯৮৫ সালের এই দিনে জগন্নাথ হলে ছাদ ধসে বহু প্রাণহানির মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) সাদিক কায়েম বলেন, “আর কোনো অক্টোবর ট্র্যাজেডি আমরা চাই না। অতীতের সেই ঘটনার থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “এখনও মোহসীন হল, সূর্যসেন হল ও সলিমুল্লাহ হলসহ কয়েকটি হলের ছাদের অবস্থা নাজুক। এগুলো দ্রুত সংস্কার করতে হবে এবং বাজেট বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।”
আলোচনায় ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ফরহাদ হোসেন বলেন, “জগন্নাথ হলের দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদারকির ঘাটতি। এখনো ইঞ্জিনিয়াররা যেসব সুপারিশ করেছেন, তা বাস্তবায়িত হয়নি। অব্যবস্থাপনার কারণে যেন আর কোনো প্রাণহানি না ঘটে।”
এর আগে সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক র্যালি বের করা হয়। পরে র্যালিটি জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালের ওই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের তৎকালীন অনুদ্বৈপায়ন ভবনের টেলিভিশন কক্ষের ছাদ ধসে ৪০ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন ছিলেন শিক্ষার্থী এবং ১৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও অতিথি। আহত হন শতাধিক ব্যক্তি।