
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অবদান অন্তত ৫০ শতাংশ। চলতি রোববার (২০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান। ভাইস-চ্যান্সেলর জানান, দেশের উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী প্রায় ৭০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করে এবং এই বৃহৎ অংশ দেশের স্বার্থে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন, শুধু ২৬ জন শহিদের মধ্যে নয়, বৃহত্তর আন্দোলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অসীম।
ডাক্তার আমানুল্লাহ আরও জানান, গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি শিক্ষা বৃত্তি’ চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি শহিদ পরিবার ও আহত শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের ফি মওকুফ করা হয়েছে। আগামীতে আরও নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করা হবে। তিনি বলেন, “বিশ্বের অধিকাংশ গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য পূরণ হয়নি আন্দোলনের ভেতরে বিভাজনের জন্য, তাই সমতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মতভেদের অবসান জরুরি। এর মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে টিকিয়ে রাখতে পারব।”
আলোচনা সভায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতাও অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও শহিদদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক শহিদ ও আহতদের পরিবারে আর্থিক সহায়তা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে শহিদ স্মৃতি শিক্ষা বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং শিক্ষক ও কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।