
ভূমিকম্পের পুনরাবৃত্তি ও আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ১৫ দিনের ছুটি ঘোষণার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ও উদ্বেগ—দুটি অনুভূতিই স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হওয়া আতঙ্কের কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী দ্রুতই নিজ নিজ বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। হলগুলোতেও শিক্ষার্থী ছাড়ার চাপ বেড়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, সাম্প্রতিক ভূকম্পন এবং ভবনগুলোর ঝুঁকি মূল্যায়ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। এতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী স্বস্তি পেলেও একটি বড় অংশ বিপাকে পড়েছে।
বিশেষ করে যারা টিউশন করে নিজেদের খরচ চালান, তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, ক্যাম্পাস ফাঁকা হলেও তারা সহজে ছাড়তে পারছেন না, কারণ টিউশনের ওপরই নির্ভর করে তাদের মাসিক ব্যয় ও পড়ালেখা।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “হল ছেড়ে বাড়ি গেলে টিউশন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে চলার মতো উপায় থাকবে না। তাই ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ঢাকাতেই থাকতে হবে।”
অন্যদিকে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মনে করছেন, এই ছুটি কিছুটা হলেও মানসিক স্বস্তি এনে দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ কাঁপুনিতে তারা আতঙ্কে ছিলেন। ছুটি পেয়ে অনেকেই দ্রুত বাড়ি ফিরছেন পরিবার-স্বজনদের কাছে।
ক্যাম্পাসে এখন স্বস্তি-উদ্বেগের মিশ্র পরিবেশ। নিরাপত্তা মূল্যায়ন শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম আবার শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।