
এসএসসি, এইচএসসি ও অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র এখন থেকে প্রধান পরীক্ষক বা অনুমোদিত পরীক্ষক ছাড়া কেউ দেখলে হতে পারে দুই বছরের জেল! শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র একটি অত্যন্ত গোপনীয় দলিল এবং একে প্রধান পরীক্ষকের কাছে ‘পবিত্র আমানত’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তরপত্রের বৃত্ত পূরণ বা মূল্যায়নের কাজ যদি শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে দিয়ে করানো হয়, তাহলে তা হবে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ১৯৮০ সনের ৪২ নম্বর আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী, এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। এই বিষয়ে বোর্ড বলছে, কিছু প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষকের অবহেলার কারণে গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে, যা পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরীক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ—উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে। কোনোভাবেই এ বিষয়ে শৈথিল্য বা গাফিলতি সহ্য করা হবে না। বিষয়টিকে ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের অনিয়ম ধরা পড়লে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষা ও পরীক্ষার মান বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানায় বোর্ড।