
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের স্মরণে প্রতি বছর ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে দিনটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, রংপুরে পুলিশি গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের স্মরণে ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে।
বুধবার (২ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবরের পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিবছর ১৬ জুলাই দিবসটি পালন করা হবে এবং এটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে বিবেচিত হবে।
এর আগে গত ২৫ জুন সরকার এক পরিপত্রে ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল, যা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথগ্রহণের দিন। তবে ওই ঘোষণার পর সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
পরবর্তীতে সরকার জানায়, সমালোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। আজ আগের ঘোষণাগুলো বাতিল করে নতুনভাবে দুইটি দিবস ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অনেকে ইতিহাসের বাস্তব স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ একে রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কৌশল বলেও আখ্যা দিচ্ছেন।