
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর ভয়াবহ হামলার পর নিরাপত্তার কারণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় শহর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে এনসিপি নেতাদের সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান (এপিসি)-তে উঠতে দেখা যায়। সেনা নিরাপত্তায় শহর ছাড়েন দলটির গুরুত্বপূর্ণ তিন নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং আখতার হোসেন।
এর আগে দুপুরে সমাবেশ শেষে চৌরঙ্গী মোড়ে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। আক্রান্ত দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ একাধিক নেতা প্রাণ বাঁচাতে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং শহরের পৌরপার্ক এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও হামলাকারীরা বারবার regroup করছে। প্রশাসন এরইমধ্যে পুরো গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে মোতায়েন থাকলেও শহরজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন সহিংসতা তারা গত এক দশকে দেখেননি।
👉 ঘটনাটি নজিরবিহীন বলছেন বিশ্লেষকরা, যা রাজনৈতিক অস্থিরতার নতুন ইঙ্গিত দিচ্ছে