
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আলোচিত আসামি নান্নুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে তাকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে আটক করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, নান্নুসহ চারজন মিলে ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে সোহাগের মাথা থেতলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। র্যাব জানায়, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত এবং হত্যাকারীরা একজন ব্যবসায়ীকে জনসমক্ষে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার মাধ্যমে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।
এই নিয়ে সোহাগ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে, রোববার সকালে রাজধানী ঢাকা ও নেত্রকোনা থেকে আরও দুই অভিযুক্ত—সজীব ও রাজীবকে আটক করা হয়। পুলিশ তাদেরকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ডাটা এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করে অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘটনার মূলহোতা ও পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করে দ্রুত চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানান তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত করেছে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পেছনে রয়েছে ব্যবসায়িক শত্রুতা এবং চাঁদাবাজি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেতলে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। হত্যার ভিডিও দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা সারাদেশে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। ঘটনার পরদিন নিহতের বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সোহাগকে চাঁদা দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। স্থানীয়রা মনে করছেন, চাঁদা না দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।