
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে দাবি-আপত্তির শুনানি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এতে উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিনের শুনানিতে কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮টি আসন নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫ আসন থেকে শুরু করে নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের বেশ কিছু আসনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে শুনানির একপর্যায়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ এবং রুমিন ফারহানা গ্রুপের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
শুনানির সূচি অনুযায়ী, দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনটি আসনের শুনানি হয়। এরপর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কুমিল্লার ৪টি আসনের শুনানি নেয়া হয়। আর বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪, ৫; চাঁদপুর-২, ৩; ফেনী-৩ এবং লক্ষ্মীপুর-২, ৩ আসনের শুনানি হয়। এর আগে, নির্বাচন কমিশনে সীমানা পরিবর্তনের দাবিতে মোট ১ হাজার ৭৬০টি আবেদন জমা পড়ে, যা ৮৩টি আসনের জন্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে ৬৮৩টি। রংপুরে আবেদন পড়ে মাত্র ৭টি। শুধু কুমিল্লা-১ আসন থেকেই আসে সর্বোচ্চ ৩৬২টি আবেদন। এ ছাড়া পিরোজপুরের তিন আসন থেকে আসে ২৮৭টি এবং সিরাজগঞ্জ-৫ ও ৬ থেকে আসে ২২০টি আবেদন। ঢাকার মধ্যে সর্বাধিক আবেদন জমা পড়ে ঢাকা-১ আসনে, মোট ৭৯টি।
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ৬টি করার প্রস্তাব করা হয়। বিপরীতে বাগেরহাটে আসন সংখ্যা ৪ থেকে কমিয়ে ৩ প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া পরিবর্তন আনা হয় ৩৯টি আসনে। এসবের মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-৩, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, সাতক্ষীরা-৩ ও ৪, শরীয়তপুর-২ ও ৩, ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯, গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫, সিলেট-১ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১, নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫, চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩ আসন। এসব পরিবর্তনের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।