
ঢাকা, ১০ জুন — অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বহুল আলোচিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৩ জুন, লন্ডনের একটি হোটেলে। বৈঠকটি সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও, মূল আলোচনা ঘিরে থাকবে জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংস্কার ইস্যু।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য যমুনা টেলিভিশনকে জানান, সোমবার (৯ জুন) দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৈঠকে তারেক রহমানকে নির্বাচন ইস্যুতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা হস্তান্তর করা হয়েছে, যা তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় উপস্থাপন করবেন। এছাড়া, রাজনৈতিক সংস্কার ঘিরে তৈরি কিছু জটিলতারও সমাধান আসতে পারে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিষয়টি নিয়ে দলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১০ জুন) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
এদিকে, চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছেড়ে যান।
গত ৪ জুন, এ সফর নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক জানান, সফরকালে ড. ইউনূস ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে সাক্ষাৎ করবেন এবং ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন। এছাড়া, ১১ জুন তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন এবং চ্যাথাম হাউসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করবেন।
সফরের অংশ হিসেবে কমনওয়েলথ ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (IMO) মহাসচিবদের সঙ্গেও তার সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব সাক্ষাতে তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকার ও অবস্থান তুলে ধরবেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে পারে। বর্তমানে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং সর্ববৃহৎ প্রবাসী বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল।
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টার এই সফর ১৪ জুন শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।