
লন্ডন, ১১ জুন ২০২৫
চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডনে পৌঁছে মঙ্গলবার (১০ জুন) থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিকেল পাঁচটায় লন্ডনে পৌঁছেই বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর সন্ধ্যা সাতটায় তিনি অংশ নেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি)-এর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের আলোচনায়, যেটির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, দীর্ঘ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বর্তমান সরকারের ১০ মাসের অর্জন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এদিন রাতেই লন্ডনের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল শার্লি বোচওয়ে। এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে।
এ সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হতে যাচ্ছে আগামী ১২ জুন, যখন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ড. ইউনূস। সেন্ট জেমস প্যালেসে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রাজা তৃতীয় চার্লস তাঁর হাতে তুলে দেবেন সম্মানজনক ‘দ্যা কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’। এই পুরস্কার মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রদান করা হবে।
এছাড়া আগামী ১৩ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
চার দিনের এ সফরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব, বিভিন্ন সিনিয়র মন্ত্রী, রাজনীতিক ও ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি বৈঠক করার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের। আলোচনায় স্থান পাবে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ শনাক্ত ও তা পুনরুদ্ধারের বিষয়ও।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা ছাড়েন ড. ইউনূস এবং মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় সময় ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সফর শেষে আগামী ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।