
ঢাকা, ২ জুন ২০২৫ — সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার বাকি ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার রায়ও বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা দিপ্তী, জসিম সরকার এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ ও লাবনী আক্তার। অপরদিকে, আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী, আইনজীবী শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম ও দুলাল মল্লিক।
ঘটনার পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। বহুল আলোচিত এই মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল।
পরে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন, আর রাষ্ট্রপক্ষ প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ উচ্চ আদালত সংশ্লিষ্ট সকল দণ্ড বহাল রাখার মাধ্যমে বিচারিক আদালতের রায়কে সমর্থন করল।
এই রায়ের মাধ্যমে মেজর সিনহা হত্যা মামলায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত প্রকাশ পেল, যা দেশে আইন ও ন্যায়বিচারের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।