
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। রাজধানীর সাতটি বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ৫০ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। হতাহতদের অধিকাংশই ছিলেন ওই সময় স্কুলে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
নিহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আরও ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে একজন (যার পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি) এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে গিয়ে সুচিস্মিতা তিথি বলেন, “আমরা এখনও সবার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারিনি। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
বর্তমানে ভর্তি থাকা ৫০ জনের মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪০ জন, সিএমএইচে ৮ জন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রয়েছেন আরও একজন। সর্বশেষ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যান মাকিন নামের এক শিক্ষার্থী। গাজীপুর জেলার কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাকিন ছিলেন মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাকিন সেদিন স্কুলে তার ছোট বোনের ফলাফল নিতে এসেছিলেন। ভাগ্যই যেন নির্মমভাবে ছিনিয়ে নিল এক সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণ।