
রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নির্মমভাবে খুন হন ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৪৩)। তাকে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একে একে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন। সর্বশেষ রোববার (২০ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন।
এর আগের দিন শনিবার (১৯ জুলাই) একই আদালতে মামলার আরেক আসামি সজীব ব্যাপারীও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত এবং আর্থিক বিরোধ বা ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকেই এই হত্যার সূত্রপাত হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। ইতোমধ্যে মামলার পাঁচ আসামি—টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, সজীব ব্যাপারী ও মাহমুদুল হাসান মহিন—আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ ও তদন্তের জন্য আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিহত সোহাগের পরিবার ও স্বজনেরা দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের পাশাপাশি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাও এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।