
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা শিক্ষার্থীদের দাফনের জন্য উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সিটি করপোরেশন কবরস্থানে স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি জানিয়েছেন, এই কবরস্থান ভবিষ্যতে নিহতদের স্মৃতি রক্ষার্থে সংরক্ষিত স্থানে রূপান্তর করা হবে।
এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের একাডেমিক ভবনে বিমান বাহিনীর এফ-সেভেন বিজেআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় বিমানে।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে, যাদের মধ্যে একজন পাইলট ও একজন শিক্ষিকা ছাড়া বাকিরা সবাই শিক্ষার্থী।
এক ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,
“এই দুর্ঘটনায় সারাদেশ স্তব্ধ। কেউই এমন কিছু কল্পনা করেনি। মা-বাবারা সন্তান খুঁজে ফিরছেন, আর আমরা জবাব খুঁজছি নিজেদের কাছেই। যারা মারা গেছে, তাদের আর ফেরানো যাবে না। কিন্তু তাদের স্মৃতিকে রক্ষা করাই এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
তিনি আরও জানান, বিমান দুর্ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হবে, কিন্তু এর মধ্যেও আহতরা এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
এই দুর্ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে—
- সব সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে।
- ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিহত ও আহতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
জাতির এই গভীর ক্ষত মুহূর্তে, শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির জন্য গোটা দেশ আজ একসাথে শোকাহত, এবং বিচার ও জবাবদিহিতার আশায় একত্র।