বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির অভিযোগ অস্বীকার করল এনসিপি

ঢাকা, ৩১ মে: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের আসন ভাগাভাগির আলোচনা বা সমঝোতায় যায়নি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

এনসিপির পক্ষ থেকে এ প্রতিবাদ আসে, যখন সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)-এর চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু দাবি করেন, এনসিপি পর্দার আড়ালে বিএনপির সঙ্গে ৫০ থেকে ৭০টি আসন নিয়ে আলোচনা করেছে। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সমঝোতা হলে জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের বদলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে এসব বক্তব্যকে “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে এনসিপি আসন ভাগাভাগির কোনো আলোচনায় যায়নি। এনসিপি একটি স্বাধীন রাজনৈতিক দল হিসেবে সারাদেশে সাংগঠনিক বিস্তৃতিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করে যাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, এনসিপি সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরির চেষ্টা চলছে যে, দল গোছানোর স্বার্থে এনসিপি নির্বাচন পেছাতে চায়। কিন্তু বাস্তবে এনসিপি বরাবরই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছে। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।”

পোস্টে তিনি প্রশাসনিক সংস্কার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী রোডম্যাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এনসিপি মনে করে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে এসব সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের আয়োজন হলে তা একচেটিয়া ও একপেশে হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ‘জুলাই চার্টার’ অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *