
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সিইসি জানান, প্রধান উপদেষ্টার চিঠি দ্রুত কমিশনে পৌঁছাবে বলে তারা আশা করছেন এবং সে অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। পাশাপাশি, আগের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের মতো নয়—এইবার তারা অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছ নির্বাচন চায় বলেও জানান তিনি।
সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন ও সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। নির্বাচনের সময় ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি জানান, বিচারাধীন থাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিচার শেষে কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। অন্যদিকে, যারা আগে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারতেন না—যেমন সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—তাদেরকে এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোটের সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছে ইসি।
এ সময় তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) অপব্যবহার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের কথাও বলেন। প্রযুক্তিনির্ভর অপপ্রচার, ভুয়া তথ্য এবং সোশ্যাল মিডিয়া অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেন সিইসি। নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক উন্নত। আরও সময় আছে, আশা করছি নির্বাচনের আগে পরিবেশ আরও স্থিতিশীল হবে।”