
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অপরাধের শাস্তি আরও কঠোর করতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সংশোধনের ফলে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
সংশোধিত আইনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো
- দায়িত্বে অস্বীকৃতি: আগে গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্ব পালন না করলে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। নতুন আইনে জরিমানা বাড়িয়ে করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা।
- অসদাচরণ: আগে নির্বাচনী দায়িত্বে অসদাচরণের শাস্তি ছিল ৬ মাস কারাদণ্ড বা ২ হাজার টাকা জরিমানা। সংশোধিত আইনে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড, অথবা ২০ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ড।
- অসদাচরণের সংজ্ঞা: এতে যুক্ত করা হয়েছে— কমিশন বা রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশ অমান্য, আইন ইচ্ছাকৃত লঙ্ঘন কিংবা দায়িত্বে অবহেলা।
সভায় প্রথম দফায় প্রস্তাবিত ১২১টি সংস্কারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে ২৪টি বাস্তবায়িত, ১৪টি আংশিক বাস্তবায়িত এবং বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে সব সংস্কার সংকলন আকারে একটি বুকলেট প্রকাশ করার পরিকল্পনাও জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।