
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রস্তাবিত আইনগুলো আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। দুদকের কার্যক্রমকে যুগোপযোগী ও কার্যকর করতে এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আসিফ নজরুল বলেন, “দুদক সংস্কার কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া গতিশীল করা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারণের বিষয় রয়েছে।” তিনি আরও জানান, দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে এসব প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং আইন প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় খসড়া তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
দুদক সংস্কারকে ঘিরে জনমনে আশার সঞ্চার হলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সঠিক প্রয়োগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এই আইনগুলো কার্যকর হবে না। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আধুনিক ও কঠোর আইন প্রণয়ন হলে দুদক নতুন করে আস্থা ফিরে পাবে। ফলে আগামী কয়েক মাসকে তারা দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে দেখছেন।