তদন্ত সংস্থার কাছে আসিফ মাহমুদের জবানবন্দি

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছিল তাদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে দেয়া লিখিত জবানবন্দিতে এমনই তথ্য দিয়েছেন এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। তিনি আন্দোলনের শুরুর দিককার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান, কীভাবে সমন্বয়কের দায়িত্ব নিয়ে উত্তাল দিনগুলোতে তারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের সামনে সাহসিকতার সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন।

লিখিত জবানবন্দিতে আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‍্যাব) নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে সামরিকীকরণ করে ব্যবহার করতো এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগও রয়েছে। তিনি ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘর’-এর কথাও তুলে ধরেন, যা রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করার গোপন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে দাবি করেন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ১৯ জুলাই গুমের আশঙ্কায় অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে তার অবস্থান ট্র্যাক করে ডিজিএফআই তাকে আটক করে।

আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের পতনের পর আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, আটক অবস্থায় তাকেও তেমনই একটি গোপন ঘরে রাখা হয়েছিল। তার দাবি, শেখ হাসিনা সরকার ও সে সময়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তিনি এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ইতিহাসে এমন অপরাধীরা যেন আর কখনো পার পেয়ে না যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *