
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দেশজুড়ে প্রস্তুতির ডাক দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৯ জুলাই রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিশেষ করে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণে গুরুত্ব আরোপ করেছেন ড. ইউনূস। দেশের মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেকই নারী হওয়ায়, যেন কেউ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত নারী কর্মকর্তা মোতায়েনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সারাদেশে মোতায়েন করা হবে প্রায় ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, যাদের ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন ভোটারদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়সীদের জন্য আলাদা বুথ রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। পাশাপাশি উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, নির্বাচনী রোডম্যাপ, ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ ও নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সহায়তার বিষয়েও নীতিনির্ধারণী আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে ক্ষমতা নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। তখন থেকেই নির্বাচন চেয়ে আসছে বিএনপি ও অন্যান্য দল। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে গত ১৩ জুন লন্ডনে ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য নির্বাচনকাল হিসেবে আলোচনায় উঠে আসে, যার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভোটের প্রস্তুতির আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে।