
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, আগামী মাস থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার এডুকেশন কার্যক্রম শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
ইসি কমিশনার বলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যেসব নাগরিক ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন, তারাই এই জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রবাসী ভোটারদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকছে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাপনা। সানাউল্লাহ জানান, প্রতি লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য ৬-৭ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। প্রবাসীদের কাছে প্রতীকসহ ব্যালট পাঠানো হবে, তবে প্রার্থীর নাম থাকবে না, যাতে প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। এই ব্যালট পাঠানোর দায়িত্ব থাকবে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের ওপর। সময়সীমা ধরা হয়েছে তিন সপ্তাহ, যার মধ্যে ভোটারদের রেজিস্ট্রেশন ও ব্যালট পাঠানোর কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, দেশেও আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মচারী ও ভোট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে—ভোটের দিনে কোনো প্রার্থী কিংবা গণমাধ্যম ড্রোন বা কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করতে পারবে না। এছাড়া, কোনো আসনে প্রার্থিতা বাতিল হলে সেখানকার পোস্টাল ব্যালট কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন সবদিক বিবেচনায় একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আধুনিক ভোট ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলে জানান কমিশনার সানাউল্লাহ।