
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। সোমবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত সংস্কারে তাদের উদ্যোগে কিছু দুর্নীতিপরায়ণ গোষ্ঠী অস্বস্তিতে পড়েছে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে। আলোচিত ‘ডিও লেটার’ ছিল দুদকের আন্তরিক সহযোগিতা চাওয়ার অংশ, কোনও তদন্ত থামানোর প্রয়াস নয় বলে জানান তিনি। <
!– HTML Ad Code Block 1 –> !– HTML Ad Code Block 1 –>ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ২৯০ কোটি টাকার বিটিসিএল উন্নয়ন প্রকল্প এবং ‘টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি-২০২৫’ প্রণয়নকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির শক্তিধর মাফিয়া গোষ্ঠী তাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। তিনি জানান, ২০১০ সালে চালু হওয়া আইএলডিটিএস নীতির মাধ্যমে একচেটিয়া সুবিধাভোগী কোম্পানিগুলো বছরের পর বছর অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিটিআরসির দুর্বল মনিটরিংয়ের সুযোগ নিয়ে ‘চুরি ও জালিয়াতির’ মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এসব অব্যবস্থার সংস্কার করতেই তারা লাইসেন্সিং কাঠামোকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরের চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, লাইসেন্স সংস্কারের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট কমানো, ভ্যালু অ্যাড না করা স্তরগুলো বাদ দেওয়া এবং এসএমই ও আইএসপি খাতকে উন্নয়নের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অতীত সরকারের সময়ে সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে আইজিডব্লিউ কার্টেল তৈরি করে যেভাবে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন থেকে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, তার তদন্ত হওয়া উচিত বলেও দাবি করেন তিনি। একে ‘রাজস্ব চুরি এবং প্রযুক্তি খাতের দুর্নীতির মহা চিত্র’ হিসেবে অভিহিত করে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন ফয়েজ তৈয়্যব।