
রাজধানীর মিটফোর্ড রোডে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে যুবদল নেতাকর্মীদের হাতে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান। শুক্রবার (১১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “জুলুমের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ এনেছিল, বিএনপি সেটা চালিয়ে যাচ্ছে।” গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একদল যুবক রাস্তায় ফেলে এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করছে এবং হত্যার পর উল্লাস করছে।
ফেসবুক পোস্টে মহিউদ্দিন খান লিখেন, “সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর শহীদ জসিমের ওপর প্রকাশ্যে এমন নৃশংসতা চালাতে দেখেছিলাম, তারপর বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড। আজ মিটফোর্ডে আমরা সেই একই চিত্র দেখলাম। এটা একক কোনো দলের কালিমা নয়, এটা জুলুমের রাজনীতির ধারাবাহিকতা।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “মিটফোর্ডের ঘটনাটা কিন্তু আজকের না, গত পরশুর। মিডিয়া যেভাবে ‘আধিপত্য বিস্তারের’ ঘটনা বলে এটাকে কাভার করেছে, তাতে অনেকে একে সাধারণ কোনো সংঘর্ষ ভেবে ভুল করছে। অথচ এই ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখলে যুবদল সংশ্লিষ্টতার সত্যতা সামনে চলে আসে। বিশেষ করে গতকাল যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে মঈনের যুবদল সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।”
ছাত্রশিবির নেতা বলেন, “একটি দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, যখন তারা জুলুম ও সহিংসতার রাজনীতির চর্চা করে, তখন তারা জনগণের কাছে সমানভাবে দায়ী হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগকে দেখে বিএনপি এখন একই পথ অনুসরণ করছে, আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।” মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মহিউদ্দিন খানের স্ট্যাটাস সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের দাবি আরও জোরালো হয়েছে।