‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের প্রতিটি ধাপ জনগণের জন্য স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান রাখতে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ড. ইউনূস নিজেই, যেখানে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই সনদ শুধু একটি কাগজ নয়—এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার প্রতিফলন এই সনদে থাকা চাই।” তিনি আরও বলেন, সনদ তৈরির প্রতিটি বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় দেশ-বিদেশে থাকা মানুষ বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন এবং ব্যাপক প্রশংসাও করছেন। এসময় তিনি কমিশনের সদস্যদের অনন্য ভূমিকা ও নিরলস প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এদিকে বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে আটটি বিষয়ে ইতিমধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আরও সাতটি বিষয়ে আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে। এই সংলাপ এবং আলোচনাগুলোর ফলাফল আগামী জুলাই সনদে প্রতিফলিত হবে বলে জানান তিনি। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনূসের এই নির্দেশনা “জুলাই সনদকে” একটি বিশ্বাসযোগ্য, জবাবদিহিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্রীয় দলিলে রূপ দেওয়ার সংকল্পকেই আরও সুদৃঢ় করলো।