
ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৫
জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শহীদদের পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসন এবং নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় গুম, খুন, গ্রেফতার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।”
খালেদা জিয়া রাষ্ট্রকে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকারদের তালিকা তৈরি এবং তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, “এখন আমাদের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একইসাথে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্য অটুট রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আসুন, আমরা সবাই মিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করি।”
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মীর মুগ্ধ, শহীদ ওয়াসিম, শহীদ বিশ্বজিৎসহ অন্যান্য ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।