জাতীয় ফুল ‘শাপলা’ নয়, নির্বাচনী প্রতীক থেকে বাদ!

জাতীয় ফুল ‘শাপলা’কে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে দেশের কোনো রাজনৈতিক দল এই প্রতীকটি আর তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। সম্প্রতি গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের গড়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে এবং প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চায়। এনসিপির বিকল্প পছন্দ হিসেবে তালিকায় ছিল ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’। একইভাবে নাগরিক ঐক্য দলটিও ‘কেটলি’ প্রতীক পাওয়ার পর তা পরিবর্তন করে ‘শাপলা’ চেয়ে আবেদন করেছে।


নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে সাকিব আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা ১৭ জুন প্রতীক পরিবর্তনের জন্য আবেদন করি এবং “শাপলা” ও “দোয়েল” পছন্দের তালিকায় রাখি।’ তবে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ আজ স্পষ্ট করে বলেন, ‘জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে আইন রয়েছে। যদিও জাতীয় ফুল বা ফলের বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন নেই, তবুও জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে “শাপলা”কে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ অতীতেও কিছু দল শাপলা চাইলেও তা দেওয়া হয়নি, বলে জানান তিনি।











বর্তমানে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে ৬৯টি নির্বাচনী প্রতীক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সামনে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন প্রতীকের সংখ্যা ১০০–এর বেশি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্তি ও তফসিল সংশোধনের জন্য শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। শাপলা বাদ পড়ায় রাজনৈতিক দলগুলোকে বিকল্প প্রতীকের দিকে ঝুঁকতে হবে—তবে জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষা করতে কমিশনের এ সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *