
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ রোববার (২৭ জুলাই) তাদের কেন্দ্রীয় কমিটি বাদে দেশের সব ইউনিট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। রাজধানীর শাহবাগে জাদুঘরের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো বা অর্গানোগ্রাম অনুসারে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটি এখন থেকে সক্রিয় থাকবে এবং দেশের সকল জেলা, মহানগর ও ক্যাম্পাস কমিটির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশিদ বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো অপরাধের দায় স্বীকার করে দেশের সকল ইউনিট স্থগিত করার দৃষ্টান্ত এই প্রথম।” তিনি অভিযোগ করেন, পরাজিত ও ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী এই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলুষিত করছে। পাশাপাশি যারা সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে অপরাধমূলক বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে একই দিনে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাসহ চারজনকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা ও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যা রিফাত রশিদের ঘোষণা ও সাংগঠনিক পদক্ষেপকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।