
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কূটনীতিতে এক ঐতিহাসিক সাফল্য এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত নতুন বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে। পূর্বনির্ধারিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের জায়গায় ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করাকে একটি “কূটনৈতিক বিজয়” বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, “এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকার আরও জোরদার হয়েছে এবং আমাদের প্রধান জাতীয় স্বার্থসমূহ সুরক্ষিত হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জনে বাংলাদেশের আলোচক দলের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কঠোর পরিশ্রম করে জটিল শুল্ক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে দক্ষতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০ শতাংশ শুল্ক—যা পূর্বাভাসের তুলনায় ১৭ শতাংশ পয়েন্ট কম—বাংলাদেশের কৌশলগত সক্ষমতা ও পরিপক্বতা প্রমাণ করে। এটি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা অক্ষুণ্ণ রাখবে এবং আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও বেগবান করবে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত কয়েক মাসে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল। তবে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত নথিতে সেই হার ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। ড. ইউনূস এই সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এই সাফল্য শুধু অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে না, বরং এটি বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক। এটি আমাদের সাহসী অর্থনৈতিক ভিশনের একটি দৃঢ় ও বাস্তব উদাহরণ।”