এখনো অজ্ঞাত ৭ মরদেহ, আহত শতাধিক শিশু

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সোমবার দুপুরে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যে ভয়াবহ ট্র্যাজেডির সৃষ্টি হয়, তাতে এখনো পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬৪ জন, যাদের মধ্যে শতাধিকই শিশু। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে ৭ জনের এখনো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ৭টি হাসপাতালে। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৪ জন ভর্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরও রয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে আগুন ধরে যাওয়ায় অনেকেই দগ্ধ হন এবং আশপাশের শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে বহু অভিভাবক হাসপাতাল ও ক্যাম্পাসে ছুটে গেছেন সন্তানদের খোঁজে।

দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি এফ-সেভেন বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান ভবনের উপর বিধ্বস্ত হলে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট এবং সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে অংশ নেন। দুর্ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আশপাশের রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। ডা. সায়েদুর জানান, সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই রক্তদানের জন্য প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক এগিয়ে এসেছেন। এ ঘটনার তদন্ত ও বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *