
ঢাকা, ২২ মে:
গণঅধিকার পরিষদের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাম্প্রতিক ক্ষমা চাওয়ার পোস্টকে ঘিরে দলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “ক্ষমা নয়, আগে পদত্যাগ করুন।”
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান আরও লেখেন, “দেশের ঐক্যের বারোটা বাজিয়ে এখন ক্ষমা চাও কেন? গণ-অভ্যুত্থানের সব স্টেকহোল্ডারকে মাইনাস করে মাস্টারমাইন্ড ও উপদেষ্টা হওয়ার মধ্যেই যে সব সুখ নেই, তা নিশ্চয়ই তুমি এখন বুঝতে পারছ।”
রাশেদ অভিযোগ করেন, মাহফুজ আলমের নেতৃত্ব ও আচরণ নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, “তুমি নাকি বলেছিলে, কাউকে দেশ চালাতে দেবে না, কাউকে রাজনীতি করতেও দেবে না! তোমার অহংকার ও ঔদ্ধত্য শুধু তোমাকেই নয়, তোমার তৈরি ফাঁদে যারা পড়েছে, তাদেরও পতনের কারণ হবে।”
তিনি আরও লেখেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পরে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ না রেখে অনৈক্য সৃষ্টি করে ভেবেছিলে একলাই হিরো হয়ে যাবা, আজীবন ক্ষমতা ভোগ করবা! কিন্তু এই দেশের মানুষ যেমন কাউকে মাথায় তুলে নিতে পারে, তেমনি প্রয়োজন হলে ধপাস করে নামাতেও জানে।”
এর আগে বিকেল ৫টায় সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, “দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য। আগেকার যেকোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল- সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারে আর একদিনও থাকলে অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই। পুরাতন বন্দোবস্তের বিভেদকামী স্লোগান ও তকমাবাজি পরিহার করলেই আশা করি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।”
গণঅধিকার পরিষদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও নেতৃত্বের প্রশ্নে এই বক্তব্যদ্বয় নতুন করে দলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।