উড্ডয়নের পরেই ত্রুটি, বিমানটি জনবিরল এলাকায় নেয়ার চেষ্টা করেন পাইলট

ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান FT-7 BGI দুর্ঘটনার কারণ ছিল যান্ত্রিক ত্রুটি। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ উড্ডয়নে যাত্রা করে বিমানটি। তবে আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি যান্ত্রিক জটিলতার মুখে পড়ে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই ত্রুটির বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দুর্ঘটনা এড়াতে প্রাণপণ চেষ্টা চালান। তিনি বিমানটিকে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল থেকে জনবিরল জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত, যুদ্ধবিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা ভবনে আছড়ে পড়ে। এতে তৌকিরসহ মোট ১৯ জন নিহত এবং আরও ১৬৪ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আইএসপিআর। আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু এবং শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দুর্ঘটনার পরপরই বিমান বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আহতদের দ্রুততার সঙ্গে হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত বলে জানিয়েছে এবং বলেছে, হতাহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। এই দুর্ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলছে পুরনো যুদ্ধবিমান ব্যবহারের ঝুঁকি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *