
ঢাকা, ১০ জুন —
সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যকার প্রতীক্ষিত ম্যাচ। তবে মাঠের লড়াই শুরুর আগেই ফুটবল উন্মাদনায় উত্তাল জাতীয় স্টেডিয়াম চত্বর। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ২টায় গেট খোলা হলেও, তার দুই-তিন ঘণ্টা আগেই স্টেডিয়ামমুখী মানুষের ঢল নামে। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই ৩৬ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামের চারপাশে সৃষ্টি হয় রীতিমতো জনসমুদ্র।
সকালে গুলিস্তান মোড় ও জাতীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় দেখা যায় ফুটবলপ্রেমীদের বিশাল ভিড়। দলবেঁধে বাংলাদেশ দলের জার্সি পরে হাজির হয়েছেন অনেকে। কারও হাতে জাতীয় পতাকা, কারও কাছে ব্যানার-প্ল্যাকার্ডে স্লোগান লেখা। একজন সমর্থকের প্ল্যাকার্ডে দেখা যায়, “হামজা-শোমিত-ফাহমিদুলের ঠিকানা; পদ্মা মেঘনা যমুনা।” আরেকজনের ব্যানারে লেখা ছিল, “কোটি মানুষের প্রাণের সুর; বাংলার ফুটবল ফিরে আসুক।”
ভক্তদের মধ্যে একজনকে দেখা যায় তার চুলের স্টাইল দিয়ে ফুটবলার হামজাকে অনুকরণ করতে। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের মিডফিল্ড এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী। জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হামজা চৌধুরী, শোমিত শোম এবং ফাহমিদুলের মতো উদীয়মান তারকারা আছেন দলে। মিডফিল্ডে শক্তি থাকলেও, গোলের জন্য উইঙ্গারদের পারফরম্যান্স হবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন সমর্থকেরা।
বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে ম্যাচ জয়ের প্রত্যাশা স্পষ্ট। মহাদেশীয় এই প্রতিযোগিতার শুরুটা জয় দিয়ে রাঙাতে চায় লাল-সবুজের প্রতিনিধি দল।
উল্লেখ্য, সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচ শুরু হলেও বিকেল ৫টার পর স্টেডিয়ামে প্রবেশের সুযোগ নেই। ফলে আগেভাগেই মাঠে প্রবেশ করে নিজ আসন নিশ্চিত করতে সকাল থেকেই প্রতিটি গেটে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ফুটবলপ্রেমীদের এই আগ্রহ প্রমাণ করে, দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলের আবেদন এখনও আগের মতোই তীব্র।