
গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ অবসানের সম্ভাবনা আবার জেগে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চিত করেছেন, আজ রবিবার (৬ জুলাই) দোহায় শুরু হচ্ছে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার নতুন এক দফা পরোক্ষ আলোচনা। আলোচনার লক্ষ্য—একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির চুক্তি। একটি ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধিদল ইতোমধ্যেই দোহায় পৌঁছেছে এবং কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবনা নিয়ে সংলাপ শুরু হয়েছে।
যদিও আলোচনার পরিবেশ গঠনমূলক, কিন্তু এখনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতানৈক্য রয়ে গেছে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ‘তাৎক্ষণিক ও গুরুত্বসহকারে’ আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, হামাসের পক্ষ থেকে কাতারি প্রস্তাবে যেসব পরিবর্তন দাবি করা হয়েছে, সেগুলো ‘অগ্রহণযোগ্য’। আলোচনার অংশ হিসেবে হামাস ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে, যেখানে তারা ১০ জন জীবিত জিম্মি ও কিছু মৃতদেহ মুক্তি দেবে এবং বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে।
তবে মূল জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে হামাসের কিছু অতিরিক্ত শর্ত নিয়ে—যেমন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, আলোচনা চলাকালে যুদ্ধ স্থগিত রাখার নিশ্চয়তা এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা ফের চালুর দাবি। এসব নিয়ে এখনো দুই পক্ষের মধ্যে গভীর মতানৈক্য রয়েছে। এদিকে, শনিবার (৫ জুলাই) তেলআবিবে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজারো ইসরায়েলি। গাজায় রোববার ইসরায়েলি হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগ। তবে স্বাধীনভাবে এসব তথ্য যাচাই সম্ভব হয়নি, কারণ গাজার অনেক এলাকায় এখনও প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ও মিডিয়া অবরোধ চলছে। পরিস্থিতি স্পষ্ট না হলেও, আলোচনার অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনায় নতুন আশার সঞ্চার করেছে।