
ভারতের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (৬ আগস্ট) এক নির্বাহী আদেশে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন ট্রাম্প, যার ফলে এখন মোট শুল্কের হার দাঁড়াল ৫০ শতাংশে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে গত ৪ আগস্ট ট্রাম্প সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি ভারতের রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি ও তা খোলা বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রির অভিযোগ তোলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “ভারত শুধু রাশিয়া থেকে তেল কিনেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, সেই তেল বাজারে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের মুনাফাও করছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রুশ আগ্রাসনে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, কিন্তু ভারত তাতে মাথা ঘামাচ্ছে না।” এ অবস্থাকে তিনি অমানবিক ও স্বার্থপর বলে উল্লেখ করেন এবং হুমকি দেন, ভারতের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে।
নতুন শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যকে বাস্তব রূপ দিলেন। বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিকভাবে এই সিদ্ধান্ত ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে নতুন চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নয়, বিশ্ব রাজনীতিতে শক্তির ভারসাম্য এবং তেলভিত্তিক ভূ-রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে। এখন দেখার বিষয়, ভারত সরকার এই ‘শাস্তিমূলক শুল্ক’-এর জবাবে কী কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেয়।