
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সোমবার (২৩ জুন) মস্কো সফরে গিয়ে খামেনির বার্তাবাহী চিঠিটি পুতিনকে হস্তান্তর করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
রয়টার্স জানায়, ইরান চায় মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করুক রাশিয়া। যদিও খামেনি কী ধরনের সহায়তা প্রত্যাশা করছেন, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য জানায়নি সূত্রটি।
এদিকে, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের এক অধিবেশনে পুতিন বলেন, চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মস্কো একটি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখছে। তিনি জানান, এই অবস্থান গ্রহণের অন্যতম কারণ হলো ইসরায়েলে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক রুশভাষী নাগরিক।
এর আগে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের কড়া সমালোচনা করে রাশিয়া জানায়, এটি আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নেমেছে তেহরান। এরপর ২১ জুন রাতে যুক্তরাষ্ট্র চালায় ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’। এতে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় প্রায় ১৪ হাজার কেজি ওজনের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করে মার্কিন বাহিনী।
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেন এবং দাবি করেন, ইরানের মূল পারমাণবিক অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।
জবাবে ইরান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েলের দিকে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানান, “আমরা প্রথমে প্রতিশোধ নেব, তারপর আলোচনায় ফিরব। আলোচনার টেবিলে আমরা ছিলাম, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলই তা ধ্বংস করেছে।”