পশ্চিম তীর সংযুক্তির পথে ইসরায়েল, তীব্র প্রতিক্রিয়া আরব বিশ্বের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ৩ জুলাই ২০২৫
দখলকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। এ লক্ষ্যে পার্লামেন্টে একটি চিঠি জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টি, যাতে স্বাক্ষর করেছেন দলটির ১৫ জন সংসদ সদস্য।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন—বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ অবস্থান—এই সময়কে পশ্চিম তীর সংযুক্তির জন্য ‘উপযুক্ত’ হিসেবে তুলে ধরছে। এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোরিচসহ প্রভাবশালী নেতারা সমর্থন জানিয়েছেন।

অর্থমন্ত্রী স্মোরিচ বলেন, “এটি ইসরায়েলের শত্রুদের জন্য একটি কড়া বার্তা। প্রধানমন্ত্রী সংকেত দিলেই আমরা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রস্তুত।”

গত দেড় বছর ধরে গাজায় বর্বর হামলার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও দমন-পীড়ন চালাচ্ছে ইসরায়েল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওই অঞ্চলে ধরপাকড় ও সহিংসতা বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সার্বভৌম অংশ হিসেবে সংযুক্ত করার অর্থ হলো, ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যাবে। এ পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলি বসতিগুলো স্থায়ী বৈধতা পাবে, যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল। তবে এতোদিন সেটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি।

ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, মিসরসহ একাধিক আরব দেশ। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্ত করার এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেছে তারা।

তেলআবিবের এই পদক্ষেপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে চলতি মাসের ২৭ তারিখের মধ্যে। আন্তর্জাতিক মহল এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *