
দুই দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, তবে বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউস থেকে কোনো চুক্তি বা সমঝোতার ঘোষণা ছাড়াই চুপচাপ ফিরে গেছেন তিনি। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তবে আশানুরূপ ফল আসেনি। বৈঠকটি এমন সময় হয় যখন মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ দোহায় হামাস-ইসরায়েল আলোচনা পরিচালনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু আলোচনার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তার সফর পেছানো হয়েছে।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আশার্ক জানিয়েছে, দোহায় অনুষ্ঠিত ইসরায়েল-হামাস পঞ্চম দফার আলোচনাও কোনো ধরনের অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে। একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না, বরং প্রতিটি বিষয়ে নেতানিয়াহু ও প্রধান আলোচক রন ডারমারের অনুমতি নিতে হয়। তার মতে, “নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে সমঝোতা ঠেকিয়ে দিচ্ছেন।” এই অবস্থায় মধ্যস্থতাকারীরা হতাশ এবং কূটনৈতিক সূত্র বলছে, গাজা পরিস্থিতির সমাধানে এখনো কোনও টেকসই পথ খোলা হয়নি।
নেতানিয়াহু ব্লেয়ার হাউসে দেয়া এক বিবৃতিতে দাবি করেন, “আমরা জিম্মিদের মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি, যা কেবল আমাদের বীর সেনাদের সামরিক চাপেই সম্ভব হচ্ছে।” তার ভাষ্য অনুযায়ী, গাজায় তাদের লক্ষ্য হচ্ছে—সমস্ত জিম্মি (জীবিত ও মৃত) উদ্ধার, হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস এবং গাজাকে আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি না রাখা। পাশাপাশি, তিনি ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সাথে ইরানের বিরুদ্ধেও ইসরায়েল-মার্কিন সমন্বিত অভিযান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তির পথ যতদিন নেতানিয়াহুর হাতে থাকবে, ততদিন যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ক্ষীণই থাকবে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।