
ঢাকা, ২ জুন ২০২৫: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আলোচনা থাকলেও, কিছু নির্দিষ্ট পণ্যে দাম কমানোর উদ্যোগও দেখা গেছে। শুল্ক ও ভ্যাটে রেয়াত দেওয়ার মাধ্যমে এসব পণ্যের বাজারমূল্য কমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
চিনির দাম কমার সম্ভাবনা: প্রস্তাবিত বাজেটে পরিশোধিত চিনির আমদানিতে টনপ্রতি শুল্ক ৫০০ টাকা কমিয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর ফলে বাজারে চিনির দাম কিছুটা কমতে পারে।
স্যানিটারি ন্যাপকিন ও তরল দুধে ছাড়: নারীদের প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর কর কমানোর প্রস্তাব এসেছে। একই সঙ্গে প্যাকেটজাত তরল দুধে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বলপয়েন্ট কলমেও ছাড়: শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় বলপয়েন্ট কলমেও ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইসক্রিমের দামে স্বস্তি: বিগত বছরগুলোতে একাধিকবার বাড়ানোর পর এবার আইসক্রিমের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা দামের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কম্পিউটার মনিটর ও প্রযুক্তিপণ্যে ছাড়: ২২ ইঞ্চির বদলে এখন ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইন্টারেকটিভ মনিটরও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, ফলে প্রযুক্তিপণ্যে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।
বিদেশি মাছ, মাংস ও বাটারেও ছাড়: বিদেশি মাছ ও মাংস আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। পাশাপাশি, বাটার আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে, যার ফলে বাজারে দাম কমতে পারে।
বিদেশি পোশাক ও প্লাস্টিকের পণ্যে শুল্ক হ্রাস: প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশি প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, পোশাক ও জুতা-স্যান্ডেলের ওপর সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে এসব পণ্যের মূল্য হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজেট বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কর ছাড় ও শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ সাধারণ ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। তবে বাস্তবায়ন ও বাজার ব্যবস্থাপনার ওপরই নির্ভর করবে এসব ছাড়ের প্রকৃত প্রভাব।