পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ

বিভিন্ন দেশি-বিদেশি চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২৩ সালেও তৈরি পোশাক রফতানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। তবে, এ সাফল্যের মাঝেও রয়েছে কিছু সতর্ক সংকেত—বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের বাজার হিস্যা কমে গেছে ০.৪৮ শতাংশীয় পয়েন্ট। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিনের মতো এবারও চীন শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে, যদিও তাদের বাজার হিস্যাও কমেছে প্রায় ২ শতাংশীয় পয়েন্ট। এদিকে, দ্রুত অগ্রগতি দেখিয়ে তৃতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে ভিয়েতনাম।


WTO-এর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক পণ্য ও সেবা বাণিজ্য ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যেখানে ২০২২ সালে এই হার ছিল ঋণাত্মক ২ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাকের আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৭.৫ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫২০ বিলিয়ন ডলার। এতে বোঝা যাচ্ছে, বৈশ্বিক বাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা আবারও বাড়ছে, যা বাংলাদেশসহ রফতানিকারক দেশগুলোর জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত।


তবে, বাংলাদেশ গত দুই বছর ধরে রফতানির দিক থেকে এক ধরনের স্থবিরতা অনুভব করছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার মাত্র ০.২১ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, অস্থির বৈদেশিক মুদ্রাবাজার এবং বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা এই স্থবিরতার পেছনে বড় কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে পণ্যের বৈচিত্র্য, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়ার দিকে আরও মনোযোগ দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *