গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ ছিল কর্মসংস্থানের অভাব

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রেক্ষাপট ছিল কর্মসংস্থানের অভাব—এ কথা স্বীকার করে শ্রম, কর্মসংস্থান ও যুব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “আজও সেই সমস্যা অনেকাংশে রয়ে গেছে, রাতারাতি পরিস্থিতি বদলে ফেলা সম্ভব নয়।” বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নতুন উদ্যোক্তাদের কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। উপদেষ্টার মতে, “বেকারত্ব দূর করাই এখন দেশের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।” তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে এবং এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী অর্থনীতিতে টিকে থাকতে হলে উদ্যোক্তা বিকাশে আরও জোর দিতে হবে।”





কর্মশালায় বিডা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে স্টার্টআপের জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি নতুন তহবিল গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন উৎস থেকেও প্রায় ৩ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। বিডা মনে করছে, এ ধরনের তহবিল ব্যবহার করা গেলে প্রযুক্তিনির্ভর নতুন উদ্যোগ এবং স্থানীয় উদ্ভাবনী ধারণার বিকাশ ঘটবে, যা অর্থনীতিতে গতি আনবে এবং বেকারত্ব হ্রাস পাবে।





বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “বাংলাদেশ এতদিন এফডিআই (বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ) এর বড় প্রকল্পগুলোকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছে, ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা পিছিয়ে পড়েছে। তবে এখন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় এনে ছোট উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে সিঙ্গেল উইন্ডো সেবা, অনলাইন আবেদন পদ্ধতি এবং বিনিয়োগ-বান্ধব নীতির বিষয়ে নীতিনির্ধারকরা জোর দেন। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এই তহবিল কার্যকরভাবে কাজে লাগানো গেলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কর্মসংস্থান পরিস্থিতিতে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *