
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলেও বুধবার (২০ আগস্ট) তিনি সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে অফিসে উপস্থিত হন। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভক্তি লক্ষ্য করা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গভর্নর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন—তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শাহীনুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাংশ কর্মকর্তা তাকে ছুটিতে পাঠানোর দাবিতে গভর্নরের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। এদিকে শাহীনুল দাবি করেছেন, তার আপত্তিকর ভিডিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
এর আগে, এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দিয়ে শাহীনুল ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। গত নভেম্বরে বিএফআইইউ এনায়েত উল্লাহর প্রায় ১২০ কোটি টাকার ৫০টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছিল। তবে সম্প্রতি ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ফলে একাধিক বিতর্কের কারণে বর্তমানে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে নিয়ে জোর আলোচনার জন্ম দিয়েছে।